প্রতারণা মামলায় বিপ্লব-ডিউ ও ফিরোজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি 

নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, তার ভাই ফিরোজ কায়সার ও স্ত্রী কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজ আক্তার ডিউয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার একাধিক শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) কুষ্টিয়া সদর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা আদালতে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কুষ্টিয়ায় দুটি স্থানীয় পত্রিকার প্রকাশনার অনুমোদন করিয়ে দেয়ার নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও আইনজীবী আব্দুস সবুর বাদী হয়ে ১৫ ই আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহার ও বাদী সূত্রে জানা গেছে, দুইটি পত্রিকার প্রকাশনার অনুমোদন করিয়ে দেয়ার নামে রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব তার স্ত্রী আফরোজ আক্তার ডিউ ও ভাই ফিরোজ কায়সার কয়েক দফায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ সময় কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফের মাধ্যমে দুইটি পত্রিকার প্রকাশনার অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক দফায় ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। পত্রিকার প্রকাশনার অনুমোদন করিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করে প্রতারকরা, তবে ভুক্তভোগী বিএনপি করে, তাই এই তিন প্রতারক সহ তাদের চক্ররা মিলিত হয়ে স্থানীয় প্রশাসনদের ক্ষমতা দিয়ে মিথ্যা মামলা করেছিলো প্রতারক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার ডিউ ও বিপ্লবের আপন ছোটভাই ফিরোজ কায়সার। বিপ্লব গংদের দারা হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীকে বলেছিলো-সাংবাদিক রুবেলের মতো তোকেও মেরে গুম করে দেওয়া হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করবি না।

নিরুপায় হয়ে বাদী আব্দুস সবুর ঢাকায় ফিরে যান। চলতি মাসের ৫-ই-আগস্ট পর থেকে সকল আসামীর মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়। এই অবস্থায় নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী কুষ্টিয়া মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুস সবুর জানান, রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার ডিউ, বিপ্লবের আপন ভাই ফিরোজ কায়সার সহ তার সাথের কয়েকজন বিভিন্ন সরকারি অফিস আদালতের কাজ করে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

বিষয়টি জানার পরেই আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা পেয়েছি, গ্রেফতারী পরোয়ানা পাওয়া বাদেও তাঁরা একাধিক এজাহারভুক্ত মামলার পলাতক আসামী, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতাসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার নাম ভাগিয়ে তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় থেকে বিপ্লব-ডিউ দম্পতি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সম্পূর্ণ গায়ের জোরে গড়ে তোলা কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার নাম ভাঙিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ট্রাস্ট সহ বিভিন্ন সরকারি ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

Leave a Comment